অনলাইন ডেক্স: ১১ আগস্ট ২০২৫
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এদের মধ্যে তিনজন নিজেদের আওয়ামী লীগ কর্মী এবং একজন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছেন। গ্রেপ্তারকালে অভিযুক্তদের কাছ থেকে হাতকড়া, অস্ত্রের সরঞ্জাম, রেডিও সেটসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে মেঘালয় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) মেঘালয়ের রংদাংগাই গ্রামে। ভারতীয় গণমাধ্যম শিলং টাইমস ও হাইল্যান্ড পোস্ট-এর তথ্যমতে, ওইদিন রাতের দিকে একটি সশস্ত্র দল গ্রামের ২১ বছর বয়সী যুবক বলসরাং এ. মারাকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ, বিএসএফ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা যৌথভাবে সীমান্তবর্তী খোঞ্জয় এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
পরদিন শনিবার (৯ আগস্ট) চিবক অরণ্যে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। এরা হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন এবং কুমিল্লার মাহফুজ রহমান। আটক মারুফুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল বলে পরিচয় দিয়েছেন। রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে গ্রামবাসীর সহায়তায় গিলাগোড়া এলাকা থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মোবারক মিয়াকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাংলাদেশি পুলিশ কনস্টেবলের একটি অফিসিয়াল আইডি কার্ড, হাতকড়া, পিস্তল হোলস্টার, ম্যাগাজিনের কভার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র এবং বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়—তিনজনের হাত বাঁধা, কারও গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি, আবার কারও গায়ে জামা নেই। ভিডিওতে এক অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, “আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম। অবৈধ সরকার এ দেশে চলে এসেছে…।” বাকিটা আশপাশের কোলাহলে স্পষ্ট শোনা যায়নি।
দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বি. জিরওয়া বলেন, “গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় দ্রুততম সময়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।” বর্তমানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন।