নিউজ ডেস্ক | জুন ১, ২০২৫
দেশজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক এলাকাই বন্যাকবলিত। এই দুর্যোগে একদিকে যেমন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে বেড়েছে সাপের আক্রমণের আশঙ্কা। বন্যার সময় বিষাক্ত ও নিরীহ সাপ উভয়েরই দেখা মেলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। তাই সতর্কতা জরুরি।
🐍 কেন বাড়ে সাপের উপদ্রব?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্যার সময় সাপের প্রাকৃতিক বাসস্থান—জঙ্গল, বিল, গর্ত ইত্যাদি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন তারা শুকনো জায়গা খুঁজতে বাধ্য হয়। ফলে তারা চলে আসে মানুষের ঘরবাড়ি, রান্নাঘর, বিছানা কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রেও।
🔊 বিশেষজ্ঞের মতামত:
“বন্যার সময় সাপ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বসতবাড়ির দিকে আসে। এ সময় বিষধর প্রজাতির সাপও পাওয়া যায়, যা জীবনঘাতী হতে পারে। সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
— ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রাণিবিদ ও সাপ গবেষক
🧠 কোন সাপগুলো বেশি দেখা যায়?
বাংলাদেশে বন্যার সময় সাধারণত যে সাপগুলো দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে:
🐍 গোখরা
🐍 চিতা সাপ
🐍 দুধরাজ
🐍 দড়ি সাপ
🐍 কালাচ (বেশি ভয়ংকর)
⚠️ সতর্কতা অবলম্বনের উপায়
✅ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় জুতা ও লাঠি ব্যবহার করুন।
✅ রাতে চলাচলের সময় টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করুন।
✅ বিছানা, বালিশ, ঝাঁপি বা কাপড় ব্যবহারের আগে ভালো করে ঝেড়ে দেখুন।
✅ ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
✅ বন্যা-পরবর্তী সময়ে জঙ্গল বা ঝোপঝাড়ে অপ্রয়োজনে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
🚑 সাপ কামড়ালে যা করবেন
❌ কোনো ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ-কবজ নয়।
✅ সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান।
✅ ক্ষতস্থানে কোনো কাটা বা দড়ি বাঁধবেন না।
✅ ক্ষতস্থানের নড়াচড়া কমাতে হবে।
✅ সম্ভব হলে সাপটির রঙ, আকার বা ছবি তুলে রাখুন — চিকিৎসায় সহায়ক হবে।
📢 শেষ কথা
বন্যা যেমন আমাদের ঘরবাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, তেমনি প্রকৃতির অনেক বিপদকে আমাদের দোরগোড়ায় নিয়ে আসে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সাপ। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকুন, সতর্ক থাকুন। বিপদে পড়লে দেরি না করে চিকিৎসা নিন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন।