ব্রেকিং নিউজ :

‘ভুল ইনজেকশনে’ কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ, চট্টগ্রামে আদালতে মামলা


প্রকাশের সময় : জুন ২৪, ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন | ৬৭
‘ভুল ইনজেকশনে’ কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ, চট্টগ্রামে আদালতে মামলা

নিজেস্ব প্রতিবেদনঃ ২৪ জুন ২০২৫
প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয় অভিযোগ এনে কিশোরীর বাবা পলাশ কুসুম নন্দী তিন চিকিৎসককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন তারা হলেন, নগরের সার্সন রোডের নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. সমৃদ্ধি চৌধুরী, হাসপাতালের এমডি সুমন চক্রবতী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।

আগামি সোমবার তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী পার্থ প্রতীম নন্দী বলেন, আদালত তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়
ভিকটিম প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। কয়েক মাস পূর্বে তার মাথা ব্যথা হয়। গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুল আলম খন্দকারকে দেখালে মাইগ্রেন্ট ব্যথা উল্লেখ করে কিছু ওষুধ দেন। পরে ২৫ মার্চ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ পঞ্চানন দাশকে দেখানো হয়। তিনিও মাইগ্রেন্ট রোগের ওষুধ দেন। ২৬ মার্চ ম্যাক্স হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়। ফলাফল নরমাল আসে। ১ জুন কিশোরীর নিজ বাসা নগরের ব্যাটারি গলির সামনে মাথ্যা ব্যথা হলে সে বমি করে। তাকে ২ জুন নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সমৃদ্ধি চৌধুরী ভিকটিম প্রজ্ঞার শারিরিক পরীক্ষা করে জটিল কোনো সমস্যা নেই বলে জানান। শরীর দুর্বল হওয়ায় তাকে একটি স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। পরে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। সেখানে কিছু ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে প্রজ্ঞা। তারপর ধীরে ধীরে শরীর খারাপ হতে থাকে। রোগীর স্বজনরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কল দিতে বললেও তারা তা আমলে নেননি।
তারপর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষকে কল করা হয়। তিনি অনেক সময় পর এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। তেমন কোনো চিকিৎসা দেননি। তারপর রাতে রোগীর হাত, পায়ের নখ কালো হয়ে যায়। এক সময় রোগীর শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। তারপর রোগীকে ওই দিন রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রজ্ঞা মারা গেছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা বাড়িতে চলছে শোকের মাতল। বাবা মার কান্নায় বারি হয়ে উঠেছে চারপাশ।