ব্রেকিং নিউজ :

ববি হাজ্জাসের হুঁশিয়ারি: ‘নির্বাচন ঠেকানো মানে নতুন স্বৈরশাসনের কবর খোঁড়া’


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৩, ২০২৫, ৫:২১ অপরাহ্ন | ১৮২
ববি হাজ্জাসের হুঁশিয়ারি: ‘নির্বাচন ঠেকানো মানে নতুন স্বৈরশাসনের কবর খোঁড়া’

অনলাইন ডেক্স : ১৩ আগস্ট ২০২৫

ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (NDM)–এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাস তার ভেরিফাই ফেইসবুক পোস্টে লিখেন…

তারা আবার মিছিলে নেমেছে। এবার তাদের স্লোগান স্বাধীনতার জন্য নয়, বিলম্বের পক্ষে। তারা বলছে, নির্বাচন নাকি সংস্কারের শত্রু। আর তাই জনগণকে আবারও অপেক্ষা করতে হবে নিজেদের নেতা বেছে নেওয়ার অধিকার ফিরে পেতে।

আমরা এই কণ্ঠস্বর চিনি। এরা সেই পুরনো রাজনৈতিক প্রাণী, যারা অন্ধকারে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়। যারা মুখে বিপ্লবের বুলি আওড়ায়, কিন্তু জনগণের জবাবদিহিতার ভয়ে কাঁপে। আজ তারা NCP আর জামাতের পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে দেশের মানুষকে বোঝাতে চাইছে—নির্বাচন চাইলে নাকি আপনি বিপ্লবের বিরোধী। এটি মিথ্যা। বিষাক্ত মিথ্যা। হাসিনার নয়-মাথাওয়ালা ফ্যাসিবাদী দানব যেমন মিথ্যা বলেছিল, ঠিক তেমনই।

দশকেরও বেশি সময় আমরা সেই দানবের বিরুদ্ধে লড়েছি—গলিতে, ক্যাম্পাসে, আদালতে, রাস্তায়, লাঠি, গুলি, কারাগারের সামনে দাঁড়িয়েছি, সঙ্গীদের দাফন করেছি। আমরা এই লড়াই একারণে করিনি, যাতে একদল নতুন, অঘোষিত “মুক্তিদাতা” এসে স্বৈরশাসকের চেয়ারে বসে আমাদের আবার বলে—“তোমরা এখনো প্রস্তুত নও।

এই বিপ্লব ছিল কোনো ব্যক্তি বা দলকে সরানোর জন্য নয়—এই নীতিকে ধ্বংস করার জন্য যে জনগণের সম্মতি ছাড়া ক্ষমতা দখল করা যায়। আর আজ, এই গরম রাস্তায়, যারা “নির্বাচন ছাড়া সংস্কার” চাইছে, তারা আসলে এক অগণতান্ত্রিক ক্ষমতাকে অন্য এক অগণতান্ত্রিক ক্ষমতায় বদলে দিতে চাইছে।

গণতন্ত্র টিকে থাকে জবাবদিহিতার ভিত্তিতে। নির্বাচনের মাধ্যমেই নেতা জনগণের কাছে জবাবদিহি করে। নির্বাচন ছাড়া “সংস্কার” আসলে কোনো সংস্কার নয়—এটা কেবল একই প্রাসাদের রঙ বদল, যেখানে তালা সবসময় ভিতর থেকে লাগানো থাকে। জনতার নামে ভিড়ের শাসন আসলে কারও কাছে জবাবদিহি করে না। আজকের জনতা কাল অন্য স্লোগান দেয়, আর তখনই ক্ষমতা জনগণের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্পষ্ট করে বলি—যারা আজ নির্বাচন ঠেকাতে চাইছে, তারা বিপ্লবের রক্ষক নয়; তারা কবর খুঁড়ছে, যেখানে জন্ম নেবে নতুন এক স্বৈরশাসন।

স্বৈরশাসক নেই। এখনই আমাদের একবারের জন্য সুযোগ আছে—ক্ষমতা সত্যিকার অর্থে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার। এই সুযোগ বিলম্ব সহ্য করবে না। যারা রাস্তায় নির্বাচনের দাবি ডুবিয়ে নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার আওয়াজ তুলছে—তাদের কাছে আমরা দেশ তুলে দিতে পারি না।

স্বৈরশাসক নেই। এখনই আমাদের একবারের জন্য সুযোগ এসেছে—ক্ষমতা সত্যিকার অর্থে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার। এই সুযোগ বিলম্ব সহ্য করবে না। যারা রাস্তায় নির্বাচনের দাবি ডুবিয়ে নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার আওয়াজ তুলছে—তাদের হাতে আমরা দেশ তুলে দিতে পারি না।

NCP আর জামাত চাইলে মিছিল করুক—কিন্তু দেশ যেন মনে রাখে, কে জনগণের অধিকার রক্ষা করেছে আর কে সেই অধিকার চুরি করতে চেয়েছে।
আমাদের বিপ্লব তখনই শেষ হবে, যখন নয়-মাথাওয়ালা দানবের সব মাথা কেটে ফেলা হবে—আর মুকুট তার প্রকৃত মালিক, জনগণের হাতে ফিরবে।

#নির্বাচনএখনই #জনতারঅধিকার #আমরারক্তদিয়েছি #গণতন্ত্রবাঁচাও #সংস্কারজন্যনির্বাচন #বিপ্লবশেষনয় #স্বৈরশাসনমুক্তবাংলাদেশ #জনতারজবাবদিহিতা #মিথ্যারমিছিল #গণআন্দোলন