

অনলাইন ডেক্স: ১৩ আগস্ট ২০২৫
গোয়েন্দা সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই জনগণের করের টাকায় পরিচালিত হলেও এর ব্যয় ও কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণ কিছুই জানতে পারে না।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “ডিজিএফআইয়ের কোনো দায়িত্ববোধ, জবাবদিহি বা স্বচ্ছতা নেই। তাদের একটাই কাজ—মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করা। কোনো কিছু ঘটলেই মানুষকে ‘আয়নাঘরে’ তুলে নেয়। আমরা সেই আয়নাঘর ভেঙে দিয়েছি। যদি আবার একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, তাহলে আয়নাঘর নয়, ডিজিএফআইয়ের সদর দফতরই ভেঙে দেব। যথেষ্ট সহ্য করেছি। বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটাকে সংস্কার করতে হবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সংস্কারকাজ শেষ না হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। আমার ভাইয়েরা যারা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য—তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সরকারকে কবরে গিয়ে শহীদদের লাশ ফেরত দিতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “যে ভাইয়ের হাত হারিয়ে গেছে, তাকে হাত ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, সেই সন্তানের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে।”
গত জুলাই মাসে সহিংসতায় বহু মানুষ আহত-নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “পুরোনো সংস্কৃতিতেই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এত রক্ত কেন ঝরল? এত প্রাণ কেন গেল?”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, “আগে গণমাধ্যম ছিল ‘হাসিনামাধ্যম’, এখন কী মাধ্যম সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের বলেছিলাম—যা করেছেন, ঘরে বসে থাকুন। কিন্তু তাঁদের লজ্জা নেই; তাঁরা বারবার জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর দাবি, নির্বাচন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে টেকসই সংস্কার ছাড়া দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
আপনার মতামত লিখুন :