

অনলাইন ডেক্স : ১০ আগস্ট ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হার—এই ফলাফলের পর নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের ওঠার সম্ভাবনা বেঁচে ছিল কেবল সমীকরণে। সেরা তিন রানার্সআপের একটি হওয়ার জন্য অপেক্ষা ছিল দিনের অন্য তিনটি ম্যাচের ফলাফলের ওপর। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় চীন ও লেবাননের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি।
বাংলাদেশের মেয়েদের প্রার্থনা ছিল চীনের জয়। শেষ পর্যন্ত সেটিই হয়েছে—চীন ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে লেবাননকে। আর সেই ফলাফলের সুবাদে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
এর আগে গত মাসে নারী জাতীয় দল মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস গড়েছিল। এবার সেই পথ অনুসরণ করেই অনূর্ধ্ব-২০ দলও প্রথমবারের মতো পা রাখল এশিয়ান কাপে। মাত্র ৩৮ দিনের ব্যবধানে নারী ফুটবলে দুটি বড় সাফল্য ধরা দিল—জাতীয় দল মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় এবং অনূর্ধ্ব-২০ দল এপ্রিলের শুরুতে থাইল্যান্ডে খেলবে মহাদেশীয় আসরে।
এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ হবে আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে। মোট ১২ দলের এই প্রতিযোগিতা শুধু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নয়, বরং বিশ্বকাপে ওঠারও সুযোগ এনে দেবে। আগামী বছর ৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপে খেলবে এশিয়ান কাপের চার সেমিফাইনালিস্ট দল। অর্থাৎ জাতীয় দলের মতো ইয়ুথ দলের সামনেও বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি।
বাংলাদেশ ‘এইচ’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে স্বাগতিক লাওসকে হারায়, দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। তবে শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হার মানতে হয়। তারপরও গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মূল পর্বের টিকিট কেটে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই ধারাবাহিক সাফল্য নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিশ্বকাপের স্বপ্ন এখন হাতের নাগালে—এবার শুধু মাঠে সর্বোচ্চটা দেওয়ার পালা।
আপনার মতামত লিখুন :