নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ২ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আগামিকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসনের নির্মম অত্যাচার-গ্রেপ্তার-গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। ”
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। ”
গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তিদের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রস্তুতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পুনর্বাসন এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। ”
বেগম খালেদা জিয়া আরো বলেন, “নতুন করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। ”
এ সময় নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন খালেদা জিয়া। কর্মসংস্থান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি।
বেগম জিয়া তার বক্তব্যের শেষভাগে বলেন, “আমাদের ঐক্য অটুট রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। বাস্তবায়ন করি কোটি মানুষের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ। যেকোনো মূল্যে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। ”
উক্ত অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সহ আরো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।